E-Digilearn

স্মার্টফোন ফোনের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ ও ব্যবহার

সহজ পাঠ্য

এই অধ্যায়ের বিষয়সমূহ:
  • স্মার্টফোন
  • স্মার্টফোন ব্যবহার সুবিধা
  • ফাংশন বা কাজ
  • স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ন ব্যবহার
  • কল করা
  • মেসেজ / এসএমএস
  • ক্যামেরা
  • ইন্টারনেট
  • ডিজিটাল কৃষিতে ইন্টারনেটের সুবিধা
  • স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার
  • ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য মোবাইল ডেটা (এমবি) কিভাবে কিনতে হয়
  • গুগল ক্রোম:
  • ই-মেইল
  • ডিজিটাল কৃষিতে এর ব্যবহারের গুরুত্ব:
  • ই-মেইল
  • মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন (এ্যাপস):
  • গুগল প্লে-স্টোর:
  • ডিজিটাল কৃষিতে এর ব্যবহার


অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: এই অধ্যায়ে স্মার্টফোন বা টাচ ফোনের পরিচিতি ও ব্যবহার আলোচনা করা হয়েছে। কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্র্যাক্টররা টাচ ফোনের ফাংশন এবং সুবিধাসমুহ জানতে ও শিখতে পারবে। স্মার্টফোনের বিভিন্ন মেনু ব্যবহারসহ কৃষি বিষয়ক মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার সর্ম্পকে জানতে পারবে। কৃষি উৎপাদন, উপকরণসমূহের ব্যবসায়, পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পাইকারি বা আড়তদার ব্যবসায়ীদের কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সহজ হবে। সুতরাং ই-কৃষি বাস্তবায়ন করার জন্য কিভাবে এই টাচ ফোন ব্যবহার করবেন, সে সম্পর্কে দিকর্নিদেশনা পাবেন।

স্মার্টফোন কি?

স্মার্টফোন কি?

স্মার্টফোন হলো এমন একটি ফোন যার মাধ্যমে যে কেউ ফোন কল করা এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানোর চেয়েও অনেক বেশি কাজ করতে পারে। যেহেতু এই ধরনের ফোন আংগুলের র্স্পশে খুব সহজেই চালানো যায় তাই আমাদের দেশে স্মার্টফোনকে টাচ ফোন বলা হয়।

 

স্মার্টফোন ব্যবহার সুবিধা :


এটি শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্যই নয়; শিক্ষা, বিনোদন, ব্যবসায়-বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হয়ে থাকে। স্মার্টফোন এখন সকল ধরনের কাজের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও ব্যপক ব্যবহার হচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে কৃষকরা ডিজিটাল কৃষির সুবিধা নিতে পারছে।

  • ফসলের বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি এ্যাপ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা নিতে পারে
  • গবাদি পশু পাখি পালনকারী ও মৎস্য খামারীরাও খামার পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় এ্যাপ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা নিতে পারে।
  • ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং খামারের পশু পা বিক্রয় করার জন্যও টাচ ফোনের নির্দিষ্ট এ্যাপ ব্যবহার করতে পারে।
  • আবহাওয়া সংক্রান্ত আগাম তথ্য, বাজারের চাহিদা ও সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্য, পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত তথ্য এবং
  • সর্বপরি ভোক্তাদের পছন্দ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করে কৃষক ও খামারী তাদের উৎপাদন পরিকল্পনা করার জন্য টাচ ফোন এর সুবিধা ব্যবহার করতে পারে।

এছাড়াও, স্মার্টফোন বা টাচ ফোন কৃষিক্ষেত্রে নিম্নে উল্লেখিতভাবেও ব্যবহার করা যায়:

সামাজিক ফোরাম: অনলাইনে সামাজিক ফোরাম এবং স্মার্টফোন এ্যাপ কৃষকদেরকে তাদের জ্ঞান-দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে একে অপরের সাথে বিনিময় করার কাজটি সহজ করে তোলে। এর দ্বারা কৃষকরা তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ফসল, সহায়ক পণ্য এবং উপকরণ, সমস্যা সমাধান এবং আরও অনেক কিছু থেকে সর্বাধিক ফলন পাওয়ার কৌশল সম্পর্কে জানতে পারেন।

তথ্য সর্ম্পকে সতর্কতা: স্মার্টফোন বা টাচ ফোন কৃষকদেরকে বাস্তবভিত্তিক আগাম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে সর্তক করে দেয়, যার মাধ্যমে, কৃষক ও খামারীরা ভবিষ্যতের কোন বিপদ বা দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য সময়মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, অন্যান্য অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া, উপকরণসমূহের অবস্থা, রোগ/কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব, ফসলের প্রতিবেদন ইত্যাদি।


বাজার তথ্য সংগ্রহ: মোবাইল এ্যাপ ব্যবহার করে কৃষকরা বিভিন্ন বাজারের মধ্যস্থতাকারী ফসল ব্যবসায়ী/ রপ্তানিকারক/ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে বাজারভিত্তিক ফসলের হালনাগাদ মূল্য জানতে পারে, যার মাধ্যমে তারা তাদের পণ্যের বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।

আর্থিক ব্যবস্থাপনা: মূলত কৃষিপণ্য উৎপাদন একটি ব্যবসা। স্মার্টফোন বা টাচ ফোন কৃষকদের এবং ভেল্যুচেইন এ্র্যাক্টরগণদের জন্য একটি কার্যকর ব্যবসায়িক হাতিয়ার যা তাদের কার্যক্রমকে আস্থা ও দক্ষতার সাথে চলতে সহায়তা করে। উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য ও আর্থিক তথ্য তদারকি এবং সংগ্রহ করতে স্মার্টফোন ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে এবং কর্মচারীদের বেতনের হিসাব করতে এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার ক্ষেত্রে এর ব্যাপক সুবিধা রয়েছে।

ফাংশন বা কাজ

স্মার্টফোন মূলত একটি ছোট পকেট কম্পিউটার। এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় । ব্যবহারকারীরা আংগুলের র্স্পশে ফোনের স্ক্রিনে দৃশ্যমান বিভিন্ন এ্যাপস চালাতে পারে। স্মার্টফোন ডিজিটাল কৃষি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন, কৃষকরা উন্নতজাতের ফসল উৎপাদন, গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষ ইত্যাদি সম্পর্কিত পরামর্শ সেবা গ্রহন করতে পারে। পাশাপাশি ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা ব্যবসায়ের কাজে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারে। স্মার্টফোনের মাধ্যমেফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদির মত কার্যকরি এ্যাপ এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে কৃষি সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় খুব সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী।

কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা তাদের কৃষি উৎপাদন, ব্যবসায় এবং কৃষি পণ্যের বিপণনের জন্য মোবাইল ফোনের ফাংশন সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারে।

 

নীচে একটি স্মার্টফোনের দরকারী সুবিধা সর্ম্পকে ধারনা দেয়া হলো:

 

কথা বলা: কারো কাছে না গিয়ে, তার সাথে সরাসরি কথা বলার একটি উপায় হল ফোন কল করা। সকলের মত একজন কৃষক বা ভেল্যুচেইন এ্যাক্টরও তার কাংখিত ব্যক্তিকে ফোন করে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত বা কৃষি চাষাবাদ সর্ম্পকে সহযোগীতা নিতে পারেন ।

 

মেসেজ বা এসএমএস: সাধারণত মেসেজ/এসএমএস নামেই বেশি পরিচিত। এটি শুধুমাত্র লিখিত মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার একটি উপায়। কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা মেসেজ/ এসএমএস পাঠিয়ে একে অপরের সাথে কৃষি/ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার/ বিনিময় করতে পারেন।

 

ছবি তোলা ও ভিডিও তৈরি করা: স্মার্টফোন ক্যামেরা হলো এমন একটি মোবাইল এ্যাপ যার মাধ্যমে কৃষক এবং কৃষি ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা দ্রুত এবং সহজে যে কোন ছবি তুলতে পারে ও কোন কিছুর ভিডিও করতে পারে। বিশেষ করে ফসল বা খামারের প্রাণিদের কোন রোগ বা সমস্যা হলে তার ছবি তুলে কৃষি কর্মকর্তা বা চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে সমাধান পেতে পারে।

 

গ্যালারি: গ্যালারি হলো মোবাইল ফোনের একটি নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে সকল ছবি ও ভিডিও জমা করে রাখা হয়। গ্যালারির পাশাপাশি ফোনের সাথে মেমোরি কার্ড ঢুকিয়েও ছবি ও ভিডিও জমা করে রাখা যায় এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যায়।

 

ইন্টারনেট: ইন্টারনেট, যাকে সহজভাবে “নেট” বলা হয়। এটা বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম। কৃষিতে ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কৃষকরা যে সুবিধা পেয়ে থাকে সেটা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। প্রথমত, এই পদ্ধতিতে কৃষকরা তাদের কৃষি উপকরণর যথাযথ ব্যবহার করতে পারে যেটা তাদের ফসল উৎপাদন খরচ এবং অপচয় কমাতে সাহায্য করে। উপরন্তু, IoT এর ব্যবহার এবং প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক তথ্যের সাহায্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ফলন বাড়াতে পারে।

 

অডিও এবং মিউজিক রেকর্ড ও বাজানো: স্মার্টফোনের মাধ্যমে যে কেউ কথা এবং গান রেকর্ড করতে পারে এবং ইচ্ছা হলে শুনতে পারে। কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা তাদের নিজেদের কথা রেকর্ড করতে পারেন এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে উৎপাদিত ফসলের ও খামারের ভিডিও করতে পারে।

 

বিভিন্ন প্রয়োজনীয় এ্যাপ ব্যবহার করা: যে কেউ প্রয়োজনীয় মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি, ই-কমার্স, ক্যালকুলেটর, প্রদর্শনের সময়, তারিখ এবং অন্যান্য ফাংশন যেমন অ্যালার্ম, ঘড়ি, স্টপওয়াচ, টাইমার, আবহাওয়া এবং স্থানীয় তাপমাত্রার তথ্য দেখতে পারে।

স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ন ব্যবহার

স্মার্টফোনে ফোন নাম্বার সেভ করা

নিচের ধাপ অনুসরণ করে নাম্বার সেভ করা যায়:

পদেক্ষেপ ১ : ফোন স্ক্রীন থেকে ’কন্টাক্ট মেনু’ নির্বাচন করুন

পদেক্ষেপ ২: ‘এ্যাড কন্টাক্ট’ মেনু নির্বাচন করুন এবং মেনুতে আলতো চাপুন

পদেক্ষেপ ৩: কন্টাক্ট নম্বর যোগ করতে ‘+’ আইকনে আলতো চাপুন

পদেক্ষেপ ৪: যে ব্যক্তির ফোন নাম্বার সেভ করতে চান তার নাম ও নাম্বারটি লিখুন

পদেক্ষেপ ৫:এবার নম্বরটি সংরক্ষণ করতে ’সেভ’ চাপুন

 

কল করা

ফোন কল :  দুরে থেকে কারো সাথে সরাসরি কথা বলার জন্য ফোন কলা করা হয়। একজন কৃষক অন্য একজন কৃষককে বা ভেল্যুচেইন এ্যাক্টরকে তার প্রয়োজনে কথা বলার জন্য কল করতে পারেন।  

কিভাবে একটি ফোন কল করবেন:

নিচের ধাপ অনুসরণ করুন:-

পদেক্ষেপ ১ : ফোন মেনু থেকে ফোন ’ডায়াল’ আইকন নির্বাচন করুন।

পদেক্ষেপ ২ : ডায়াল করতে ফোন নম্বর লিখুন।

পদেক্ষেপ ৩ : কেবলমাত্র কথা বলার জন্য

 ‘কল বাটন’ আলতো চাপুন

 

কল রিসিভ:

ইনকামিং ফোন কল রিসিভ করার জন্য ’সবুজ আইকনটি’ উপরের দিকে আংগুল দিয়ে ‘ঠেলে’ দিন।

উদাহরণস্বরূপ, ডান দিকের ছবিটি দেখুন। নোট: মোবাইল ফোন ভেদে এটা ভিন্ন রকম হতে পারে।

 

মেসেজ / এসএমএস

মেসেজ কি? সাধাণত মোবাইলের মাধ্যমে সীমিত শব্দে কোন কিছু লিখে পাঠানোকে বুঝায়। এটি শুধুমাত্র লিখিত বার্তা পাঠানো এবং গ্রহণ করে একে অপরের সাথে যোগাযোগের একটি সহজ উপায়।

মেসেজ লেখা ও পাঠানো:

নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: মেসেজ মেনুতে যাওয়ার জন্য মেসেজ আইকন চাপুন

ধাপ ২: ” এখন স্ক্রীনে মেসেজ লেখার জন্য মেসেজ আইকনটি চাপুন।

ধাপ ৩: মেসেজ লেখা শুরু করুন

ধাপ ৪: যে নাম্বারে মেসেজ পাঠাবেন সেই নাম্বার লিখুন

ধাপ ৫: ‘সেন্ড’ আইকনে চেপে মেসেজটি পাঠিয়ে দিন

 

মেসেজ ফরোয়ার্ড:

ধাপ ১: মেসেজ মেনুতে যান

ধাপ ২: যে মেসেজটি ফরোয়ার্ড করতে চান, সেটা নির্বাচন করতে হবে।

ধাপ ৩: যে নাম্বারে ফরোয়ার্ড করতে চান, সে নাম্বারটি লিখতে হবে।

ধাপ ৪: এবার ‘ফরওয়ার্ড’ মেনুটি আলতো করে চাপতে হবে।

 

মেসেজ ডিলিট/ মুছা :

মেসেজ ডিলিট করার জন্য মেনু থেকে মেসেজটি নির্বাচন করুন। এরপর ডিলিট আইকন চাপুন।

ধাপ ১: মেসেজ মেনুতে যেতে হবে

ধাপ ২: যে মেসেজটি মুছতে চান, সেটা নির্বাচন করতে হবে।

ধাপ ৩: ’ডিলিট’ আইকনটি (উপরে কোনায়) চাপতে হবে

 

ক্যামেরা

স্মার্টফোন ক্যামেরা হলো একটি এ্যাপ যার মাধ্যমে ছবি তোলা ও ভিডিও করা যায়।

ডিজিটাল কৃষিতে ক্যামেরার সুবিধা:

কৃষিক্ষেত্রে ফসল পোকামাকড় বা রোগাক্রান্ত হলে বা খামারের গবাদি পশু পাখি ও মৎস্য কোন রোগ বা সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত হলে সেগুলোর ছবি তুলে বা ভিডিও করে কৃষি কর্মকর্তা বা চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য নিজের মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখা যায়। প্রয়োজনে এগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করা, নিজে দেখা, পণ্য/ব্যবসায় সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে সুবিধা দেয়। এটি প্রত্যেক কৃষক ও ভেল্যুচেইন এ্র্যাক্টরগণদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই দরকারী।


কিভাবে ছবি তুলতে হয়

নিচের ধাপসমূহ অনুসরণ করুন –

পদেক্ষেপ ১ : স্মার্টফোনের হোম স্ক্রীন থেকে ‘ক্যামেরা আইকন’ খুলুন। (পাশের ছবিটি দেখুন)

পদেক্ষেপ ২ : যে বিষয়টির ছবি তুলতে চান প্রথমে সেটা নির্বাচন করুন।

পদেক্ষেপ ৩ : ‘ফটো চিহ্ন’ আইকন দ্বারা নির্বাচিত বিয়টির উপর ফোকাস করুন (পাশের ছবিতে দেখুন)

পদেক্ষেপ ৪ : ছবি তুলতে ‘ক্যাপচার’ আইকনে আলতো চাপুন। এবার, ছবি উঠে যাবে এবং অটোমেটিকভাবে ‘গ্যালারিতে’ জমা হয়ে যাবে।

গ্যালারী হতে ছবি ও ভিডিও দেখা:

মোবাইলের গ্যালারীতে যে সকল ছবি এবং ভিডিও আছে, সেখান থেকে কোন একটি ছবি বা

ভিডিও দেখার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-

পদেক্ষেপ ১ : হোম স্ক্রিনের ‘গ্যালারী আইকন’-এ আলতো চাপুন।

পদেক্ষেপ ২ : এবার আপনার মোবাইলে সেভ করা সব ছবি ও ভিডিওর একটি তালিকা স্ক্রীনে দেখতে পাবেন। তালিকা থেকে যে ছবি বা ভিডিও দেখতে চান সেটি উপর আলতো চাপ দিন। পুরো ছবিটি স্ক্রিনে হাজির হয়ে যাবে।

গ্যালারি হতে ছবি বা ভিডিও ডিলিট করা:

এটা খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-

পদেক্ষেপ ১ :  হোম স্ক্রিনের ‘গ্যালারী আইকন’-এ আলতো চাপুন।

পদেক্ষেপ ২ :  স্ক্রীনের তালিকা থেকে যে ছবি বা ভিডিও মুছতে চান সে ছবি বা ভিডিওটি নির্বাচন করুন।

পদেক্ষেপ ৩ :  ’ডিলিট’ অপশনে আলতো চাপুন

 

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট, যাকে সহজভাবে ‘নেট’ বলা হয়ে থাকে । মূলত এটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। ইন্টারনেট হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যা স্মার্টফোনকে ওয়েব পেজ, এ্যাপস, ওয়েব প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক, ইউটিউব, এবং আরও অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত করে । শিল্প, বানিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনের পাশাপাশি  কৃষি উৎপাদন ও বিক্রয় সম্পর্কিত কাজের জন্যেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সব ধরনের পরামর্শ সেবা এবং বিক্রয় সম্পর্কিত তথ্য ছাড়াও প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে, যে কেউ  যেকোনো জায়গা থেকে একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় এবং যোগাযোগ করতে পারে।

 

ডিজিটাল কৃষিতে ইন্টারনেটের সুবিধা 

ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থায় ইন্টারনেট কৃষিপণ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এগুলো আলোচনা করা হলো:

কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সেবা যেমন, কৃষি উৎপাদন সংক্রান্ত পরামর্শ, কৃষি ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন, প্রযুক্তিগত কৃষি সেবা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের কৃষি উপকরণের ব্যবহার করতে পারে। ফসল উৎপাদন খরচ এবং অপচয় কমাতে সাহায্য করে।

কৃষকরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নতুন নতুন বিক্রয় চ্যানেলে স্বল্প খরচে এবং কোন মধ্যস্বত্বভোগির উপস্থিতি ছাড়াই কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।  

ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রামীণ ই-কমার্স শিল্প যেমন,  কৃষি পণ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও গুদামজাতকরণ এবং বিক্রয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমকে সম্পাদন করার মাধ্যমে কৃষককে তার পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধির সাথে সাথে আয় বৃদ্ধিতেও সহায়তা  করে। এরফলে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ে এবং উদ্যোক্তাদের সুযোগ সৃস্টির পাশাপাশি কৃষকদের নানামুখী আয়ের উৎস তৈরি করে।  কাজের সন্ধানে যে সকল শ্রমিক তাদের এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায় তারাও নিজের এলাকায় ফিরতে পারে। তরুণ বেকার,  এবং গ্রামীণ এলাকায় অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর (যেমন, দরিদ্র,  নারী, বয়স্ক , প্রান্তিক এবং প্রতিবন্ধী) কাজের সুযোগ তৈরি হয়।

কৃষিপণ্যের জন্য ই-কমার্স প্রসারে, কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে পারে, অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে, অনলাইনে মূল্য পরিশোধ ও গ্রহণ করতে পারে। 

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার

সাধারণত, স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য মোবাইল ডেটা (এমবি) প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কৃষক, কৃষি উপকরণ বিক্রেতা, উৎপাদিত পণ্যের ক্রেতা/আড়তদার, স্থানীয় সেবা প্রদানকারী, এবং গ্রাহকরা একে অপরের সাথে  যোগাযোগ করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের কৃষি এ্যাপস ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম, সার-বীজ, কীটনাশক ব্যবহারের নিয়ম-কানুন জানতে পারে। আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য এবং দূর্যোগ সংক্রান্ত আগাম তথ্য পেতে পারে। মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন (এমএফএস), ফেসবুক, হোয়াটসএ্যাপ, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে যা উৎপাদনশীলতা

বাড়ায় এবং ব্যবস্থাপনা/ম্যানেজমেন্ট সহজ করে

গুগল ক্রোম:

গুগল ক্রোম হলো ওয়েব সাইট ব্রাউজিং এর জন্য একটি বিনামূল্যের ব্রাউজার। ক্রোমকে সবচেয়ে দ্রুততম ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এক ক্লিকে, এটি বিদ্যুতের গতিতে ওয়েব পেজ, একাধিক পেজের উইন্ডো এবং এ্যাপ্লিকেশন চালু করতে পারে।

কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা যেকোন বিষয়ে তাদের তাদের জ্ঞান-দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বা ধারণা পেতে বা কোন কিছুর তথ্যে জানার জন্য পছন্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, কৃষকরা পশুসম্পদ সেবার জন্য www.dls.gov.bd ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন।

গুগল ক্রোম এর মাধ্যমে ব্রাউজ করতে, নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

 

পদেক্ষেপ ১ :  স্মার্টফোনের প্রধান মেনু থেকে Chrome নির্বাচন করুন

পদেক্ষেপ ২ :  ’গুগল ক্রোম এ্যাড্রেসবার ‘বা সার্চ আইটেম বারে পছন্দের ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখুন, তারপর Go/Search চিহ্ন চাপুন

পদেক্ষেপ ৩ : মোবাইল স্ক্রিনে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখা যাবে। তালিকা থেকে পছন্দের ওয়েব সাইট লিঙ্কটি নির্বাচন করুন

ই-মেইল

ই-মেইল কি?

ইলেকট্রনিক মেইল হল ব্যবহারকারীদের মধ্যে যোগাযোগের একটি ওয়েব-ভিত্তিক এ্যাপ্লিকেশন। ই-মেইল নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী মানুষকে খুব দ্রুত একে অপরের সাথে চিঠিপত্র, ডকুমেন্টস ইত্যাদি বিনিময় করার সুবিধা দেয়। যদিও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে একটি চিঠি বিলি হতে এক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ খানেক সময় লাগে, সেখানে একটি ই-মেইল প্রায় তাৎক্ষণিক অর্থাৎ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বা মিনিটের মধ্যে প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায়।

 

কৃষিতে এর ব্যবহারের গুরুত্ব:

অন্য সকলের মত কৃষক বা ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা ই-মেইলের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেদের সাথে এবং গ্রাহকদের সাথে খবরাখবর বা তথ্য বিনিময় করতে পারে। উৎপাদিত পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ ও তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিপণনের জন্য চিঠি পঠাতে পারেন। আবার চাষাবাদ পরিচালনায় বা খামার পরিচালনায় কোন সমস্যা দেখা দিলে, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সেবা নেয়ার জন্য ই-মেইলে দ্রুততার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

ই-মেইল এ্যাকাউন্ট খোলা বা তৈরি করা

আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (ওয়েব ব্রাউজার) ই-মেইল এ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য সুবিধা দিয়ে থাকে। গুগল এর মধ্যে অন্যতম। গুগলের ই-মেইল সেবার নাম জি-মেইল।


জি-মেইল এ্যাকাউন্ট খোলা বা তৈরি করা:

জি-মেইল হচ্ছে গুগলের একটি ডিজিটাল পত্র বা ই-মেইল সেবা যেটা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। সকল গুগল ব্যবহারকারীর একটি জি-মেইল এ্যাকাউন্ট থাকে। জি-মেইল এ্যাকাউন্টটি সাধারণত ডিজিটাল চিঠি বা ই-মেইল যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয় । কৃষক এবং ভেল্যুচেইন এ্যাক্টররা স্মার্টফোনের মাধ্যমে জি-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে একে অপরের সাথে ডিজিটাল চিঠি বা ই-মেইল আদান প্রদান করতে পারেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে জি-মেইল এ্যাপ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। 

জি-মেইল এ্যাকাউন্ট খুলতে নিচের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন (লাল চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে):

ধাপ ১: গুগল ক্রোম আইকনে ক্লিক করুন

ধাপ ২: সার্চ বারে ’জি-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি’ কথাটি লিখুন

ধাপ ৩: অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য ’সাইনআপ ফর্ম’ পূরণ করুন (ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে)

ধাপ ৪: ’লাল চিহ্ন’ বক্সগুলো তথ্য দিয়ে পূরণ করুন

ধাপ ৫: 8 বা তার বেশি বর্ণ দিয়ে করে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন

ধাপ ৬: গুগল-এর ’শর্তাবলী এবং গোপনীয়তা যাচাই করুন’ এবং নীতি মেনে চলার অংগীকার’ চেকবক্সে ক্লিক করে, ’নেক্সট’ বাটন ক্লিক করুন

ধাপ ৭: প্রোফাইল তৈরি করার জন্য মূল পেইজটি দেখা যাবে।

ধাপ ৮: অ্যাকাউন্ট তৈরি সফল হয়েছে, ই-মেইল পাওয়া যাবে।

 

 

 

মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন (এ্যাপস):

মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন (এ্যাপ) হল একটি সফটওয়্যার যা বিশেষভাবে স্মার্টফোন এবং ট্যাবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটা সাধারণত মোবাইল এ্যাপস নামেই পরিচিত। এ্যাপস এর মাধ্যমে আজকাল সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায় হতে নানা ধরনের ডিজিটাল কৃষি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল এ্যাপসগুলো গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যায় এবং যে কেউ বিনামূল্যে এগুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য কিছু কিছু এ্যাপস আছে যেগুলো গুগল প্লে-স্টোর থেকে কিনে ব্যবহার করতে হয়।

 

এ্যাপস এর সুবিধা:

  • ফসল উৎপাদন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পরার্মশ সেবা পাওয়া যায়
  • গবাদি পশু পালনকারী ও মৎস্য খামারীরা শুরু থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পরার্মশ সেবা পায়
  • কৃষি উপকরণের খুচরা বিক্রেতারা কৃষকদের উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ সেবা দিতে পারে
  • স্থানীয় সেবাদানকারীরা কৃষক ও খামারীদের সহজে সেবা দিতে পারে
  • পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য সহজে কিনতে পারে
  • আবহাওয়া বিষয়ে আগাম খবর পাওয়া যায়
  • বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য পাওয়া যায়
  • পণ্য পরিবহন করার তথ্য পাওয়া যায়
  • কৃষক ও খামারিরা স্মার্ট উৎপাদন পরিকল্পনা করতে পারে।

 

 

গুগল প্লে-স্টোর কী?

গুগল প্লে-স্টোর হচ্ছে ইন্টারনেটের এমন একটি জায়গা, যেখানে সব ধরনের অ্যাপের পাশাপাশি কৃষি বিষয়ক অ্যাপও পাওয়া যায়। যেখান থেকে কৃষক এবং ভ্যালুচেইন অ্যাক্টররা বিনামূল্যে বা কোনো কোনোটি প্রয়োজনে ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন।

 

কীভাবে এটা ‘ডিজিটাল কৃষিকেসহায়তা করে ?

কৃষক এবং ভ্যালুচেইন অ্যাক্টররা ‘প্লে-স্টোর’ থেকে স্মার্টফোনে কৃষি অ্যাপ ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারেন। প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার জন্য প্রত্যেক কৃষক ও ভ্যালুচেইন অ্যাক্টরদের একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টটি কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা আগেই পূর্বের সেকশনে আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি।

 

গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল

গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার নিয়ম এবং মোবাইলে ব্যবহারের জন্য চালু করার প্রক্রিয়াগুলো নিচে দেখানো হলো:

ধাপ ১: গুগল প্লে-স্টোরে যাওয়ার জন্য প্লে স্টোর আইকন চাপুন

ধাপ ২: ’সার্চ বারে’ অ্যাপের নাম লিখে ’সার্চ’ আইকনটি চাপতে হবে।

ধাপ ৩: স্ক্রীনের তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় অ্যাপটি নির্বাচন করতে হবে।

ধাপ ৪: ’ডাউনলোড বাটন’ চাপতে হবে।

ধাপ ৫: ‘ইনস্টল বাটনে’ ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৬: ইনস্টল শেষে ‘ওপেন’ বাটন ক্লিক করে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে।