E-Digilearn

ডিজিটাল কৃষির গুরুত্ব

সহজ পাঠ্য

এই অধ্যায়ের বিষয়সমূহ:
  •  ডিজিটাল কৃষি কি?
  •  ডিজিটাল কৃষির গুরুত্ব
  •  ডিজিটাল কৃষির সুবিধা
  •  কৃষক ও ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহ
ডিজিটাল কৃষি কি?


সাধারণ অর্থে  ডিজিটাল কৃষি বা ই-কৃষি বলতে সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকেই বোঝায়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মাঠ ফসল উৎপাদন, খামারে গবাদি পশু এবং মাছ চাষ করা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, এবং বিপণনসহ প্রতিটি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সঠিক কলাকৌশল জেনে টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করাকে বোঝায়।   

ডিজিটাল কৃষির গুরুত্ব:

কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক ও ভেল্যুচেইন এ্যাক্টরদের প্রয়োজনীয় কৃষি সম্প্রসারণ পরামর্শ সেবা ব্যবহার উপযোগী ও সহজবোধ্য করে স্বল্পসময়ের মধ্যে তাদের দোড়গোয়ায় পোঁছানো যায়। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। জীবনযাত্রার মান বাড়বে। কৃষি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতে এগিয়ে আসবে। কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে—এতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। এক্ষেত্রে ই-কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ই-কৃষি হলো-ইলেকট্রনিক প্রবাহের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক তথ্য সরবরাহের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট, রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ভরযোগ্যভাবে কৃষক, কৃষি উপকরণ ও পণ্য ব্যবসায়ী, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, পরিকল্পনাবিদ এবং ভোক্তা ইত্যাদি গোষ্ঠির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

ডিজিটাল কৃষির সুবিধা:

আমাদের দেশের কৃষক এবং ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদের চিরাচরিত পুরাতন চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করেন যা- ধারণা, পুরানো কৃষি উপকরণ এবং একমাত্র জৈব সারের উপর নির্ভর করে থাকে। এরফলে ফসল উৎপাদন উপকরণসমূহের খরচ বেশি হয়, উৎপাদনে সময় বেশি লাগে এবং উৎপাদন কম হয়ে থাকে যা লাভজনক নয় । অন্যদিকে, আজকাল উন্নত দেশগুলো কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করেছে। যার ফলে অল্প সময়ে এবং কম খরচে বেশি পরিমানে ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এরফলে তাদের কৃষি উৎপাদন শক্তিশালী হয়েছে যেটা বেশি লাভজনক।

সুতরাং ডিজিটাল কৃষি; কৃষক এবং ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদেরকে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সেবা দেয়ার সুযোগ সৃস্টি করেছে যেটা ব্যবহার করলে তারা কৃষি (মাঠফসল, পশুসম্পদ, এবং মৎস্য চাষ) উৎপাদন, বিক্রয় এবং ব্যবসায় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধা পাবে। এরফলে কৃষির উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়বে তেমনি ব্যবসার মুনাফাও বৃদ্ধি পাবে।

কৃষক ও ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদের জন্য সরকারি উদ্যোগসমূহ

কৃষি মন্ত্রণালয়, প্রাণি ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রনালয় ও এর অধীন সংস্থাগুলো ই-কৃষির প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। কৃষক ও ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদের ব্যবহারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার উল্লেখযোগ্য কিছু ই-কৃষি সেবা সম্পর্কে তথ্য দেয়া হলো-

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)

ডিজিটাল ক্রপ ক্যালেন্ডার:

জমিতে বছরব্যাপী পরিকল্পনামাফিক চাষবাস করার জন্য ডিজিটাল ক্রপ ক্যালেন্ডার (http://cropcalendar.marssil.com) সেবাটি চালু রয়েছে। কৃষক ফসলের ধরন বা জাত পছন্দ করার পর একটি কার্ড প্রিন্ট করতে পারবে যেখানে তারিখসহ চাষাবাদ পদ্ধতি, সার, সেচ, বালাই দমন ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা লেখা থাকবে।

 


 


কৃষকের জানালা :
ছবি দেখে বালাই শনাক্তকরণ এবং তার ব্যবস্থাপনার বর্ণনা অনলাইনে কৃষকের থেকে পাওয়া যাবে। এখানে ছবি দেখে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ফসলের যে কোনো সমস্যা নিজে নিজেই চিহ্নিত করতে পারবেন এবং চিহ্নিত ছবিতে ক্লিক করলেই সমাধান ও ব্যবস্থাপনা পরামর্শ পাওয়া যাবে।


বালাইনাশক নির্দেশিকা: রোগ চিহ্নিত করার পর তার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অনুমোদিত রাসায়নিক বা জৈব বালাইনাশকের নাম জানার জন্য আছে বালাইনাশক নির্দেশিকা বা Pesticide Prescriber http://pest2.bengalsols.com/) । গুগল প্লে স্টোর থেকেও এর মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও আইসিটি মাধ্যমে কৃষি সংশ্লিষ্টদের কাছে সময়োপযোগী কৃষি তথ্য পৌঁছানোই কৃষি তথ্য সার্ভিসের মূল দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে পরিচালিত কৃষি কল সেন্টারে যে কোনো অপারেটর থেকে ১৬১২৩ নম্বরে প্রতি মিনিট ০.২৫ টাকা (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ছাড়া) ব্যয়ে ফোন করে কৃষি/মৎস্য/প্রাণিসম্পদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সমাধান নিতে পারবেন। শুক্রবার ও সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সেবাটি দেয়া হচ্ছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে (www.ais.gov.bd) -এ কৃষি বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্যের পাশাপাশি অনলাইনে প্রশ্ন করে স্বল্পতম সময়ে সে প্রশ্নের সমাধান জানতে পারেন।

কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নির্মিত মাল্টিমিডিয়া ই-বুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সহজে তথ্য নেয়া যায়। কৃষি তথ্য সার্ভিসের দুইটি মোবাইল অ্যাপস রয়েছে। বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ মোবাইল অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে Agriculture Info Service নামে সার্চ করে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি জনপ্রিয় মাসিক কৃষিকথা পত্রিকাটির একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে সহজেই ব্যবহারকারীরা জনপ্রিয় এ ম্যাগাজিনটি মোবাইল ফোনেই পড়তে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তিসমূহের তথ্য সমৃদ্ধ ‘কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে। মূলত এটি কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এ অ্যাপসটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল হ্যান্ডসেটে ব্রাউজ করে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের বিস্তারিত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। অধিকতর তথ্যের জন্য উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রশ্ন জানাতে পারবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি কলের মাধ্যমে পরামর্শ নেয়া যায়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত ও ব্রি প্রযুক্তিগুলো মাধ্যমে ‘রাইস নলেজ ব্যাংক’ নামে একটি ডায়নামিক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যা মোবাইলভিত্তিক অনলাইন জ্ঞান ভাণ্ডার যাতে আধুনিক ধান চাষ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও কলাকৌশল সন্নিবেশিত আছে। অ্যাপটি ‘Rice Knowledge Bank’ নামে গুগল প্লে স্টোর থেকে এন্ড্রয়েডভিত্তিক মোবাইলে ফ্রি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই):

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম নামক একটি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সুষম সার সুপারিশ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের যে কোনো প্রান্তের একজন কৃষক জমি ও স্থানের কয়েকটি তথ্য দিয়ে মাটির উর্বরতা মানের ভিত্তিতে তার চাহিদা অনুযায়ী ফসলের জন্য সুষম সার প্রয়োগের সুপারিশ পেতে পারেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে (www.srdi.gov.bd) প্রবেশ করে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার মধ্যে ‘অনলাইন সার সুপারিশ’ লিংকটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে এ সার্ভিসের সুবিধা পাওয়া যাবে। অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম প্রবর্তনের ফলে ধান ফসলের ফলন ১৫-২৫% এবং অন্যান্য ফসলের ফলন ১৫-২০% বৃদ্ধি পায়, সারের অপচয় কমে, ফসলের পুষ্টিমান বাড়ে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএএম)

ই-কৃষি সেবা বিস্তারের লক্ষ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক ৬৪টি জেলা থেকে সংগৃহীত খুচরা, পাইকারি ও কৃষক প্রাপ্ত বাজার দর দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, যা পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে www.dam.gov.bd  ওয়েবসাইটে সহজলভ্য করা হয়ে থাকে।


মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ বিভাগ

কৃষক ও ভেল্যুচেইন অ্যাক্টরদের জন্য অনেকগুলো মোবাইল অ্যাপস তৈরি করেছে। যেমন,

মৎস্য পরামর্শ

এই মোবাইল অ্যাপটিতে ছবিসহ মাছের বিভিন্ন রোগ বালাই, কারন ও প্রতিকার বিষয়ে সমাধান দেয়া হয়েছে। যেকোন মৎস্য চাষি, ও ভেল্যুচেইন অ্যাক্টর মোবাইল ফোনের  মাধ্যমে নিজেই মৎস্য চাষ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটা বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।

 

লাইভস্টক ডায়েরি: প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও তথ্য সেবা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে লাইভস্টক ডায়েরি 

শিরোনামে একটি মোবাইল অ্যাপস্ উদ্ভাবন করা হয়েছে। অ্যাপসটিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী লালন-পালন, কৃত্রিম প্রজনন, গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে অত্যন্ত সহজ ভাষায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে খামারিগণ সুবিধা নিতে পারে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটা বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।

 

বিএলআরআই ফিড মাস্টার: এই অ্যাপটি গবাদি পশু লালন পালনকারিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরি, খাবার রেশনিং, ওজন পরিমাপ ইত্যাদি বিষয়ে সকল তথ্য দেযা হয়েছে। মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে খামারিগণ সুবিধা নিতে পারে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটা বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।


খামারগুরু:

 

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এই ডিজিটাল অ্যাপটি তৈরি করেছে। অ্যাপটিতে গরু ও মহিষ মোটাতাজাকরণ, ছাগল ও দেশি মুরগির আদর্শ ও লাভজনক খামার স্থাপন পদ্ধতি ও পরিচালনার জন্য ছবিসহ সমস্ত নির্দেশনা এখানে রয়েছে। এই এ্যাপে পশুখাদ্য খাওয়ানোর সঠিক কৌশল, ফিড রেশন তৈরির পদ্ধতি, নিজে নিজে সব ধরনের ফিড তৈরি ও প্রক্রিয়াকরণের কৌশল, পশুর ওজন মাপা এবং টিকা প্রদান সহ বিভিন্ন

ধরনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গুগল প্লে-স্টোর হতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার

করতে পারেন।

কৃষক ও ভেল্যুচেইন এ্যাক্টরদের ব্যবহারের জন্য মৎস্য ও প্রাণি বিষয়ে বেসরকারি পর্যায়ের কিছু ই-কৃষি সেবা সম্পর্কে তথ্য দেয়া হলো-

‘প্লান্টিক্স’:  একটি মোবাইল অ্যাপ যেটাকে ‘প্লান্ট ডক্টর’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। প্ল্যানটিক্স অ্যাপটি কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণকর্মী এবং খামারিদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে ফসল সংক্রান্ত পরামর্শ সেবাদান দেয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ফসল ও উদ্ভিদ, কীটপতঙ্গের আক্রমনজনিত ক্ষতি, রোগ-বালাই এবং ফসলের বৃদ্ধিতে পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় এবং তা সমাধানে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে থাকে। কৃষকগণ ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উদ্ভিদের নানবিধ রোগ বালাই ও সমস্যা সমাধানের বিষয় নিয়ে অনলাইন পরামর্শ প্রদানকারীদের সাথে, কৃষি বিজ্ঞানী এবং উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যেও এই অ্যাপটিকে ব্যবহার করা যায়। গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।

রূপালী: মৎস্য চাষ সংক্রান্ত একটি মোবাইল অ্যাপ, যা ACI নামক কৃষিপণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে

। এই অ্র্যাপের মাধ্যমে মৎস্য চাষী এবং অনান্য ভেল্যুচেইন অ্যাক্টররা

 মৎস্য চাষ সংক্রান্ত সঠিক ও সময়োপযোগী পরামর্শমূলক তথ্য সেবা পেয়ে থাকেন। যেমন চাষ যোগ্য মৎস্য পরিচিতি, প্রজাতি ভেদে মৎস্য চাষ পদ্ধতি, ছবিসহ বিভিন্ন রোগ

বালাই এর লক্ষণ, কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার, উপযুক্ত খাবার এবং পুকুর তৈরি করার পদ্ধতি, রাসায়নিক প্রয়োগের নিয়ম, পুকুর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ইত্যাদি।